তিন কোটি শেয়ার ইস্যু করেছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যমান তিনজন উদ্যেক্তা পরিচালক ও ১৪ জন শেয়ারহোল্ডারের কাছে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনক্রমে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে ইস্যু করা হয়েছে। তবে বিএসইসি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের ছাড়াও অন্যদের শেয়ার ইস্যু করার জন্য সম্মতি দিয়েছিল অথচ কোম্পানিটি শুধু তিনজন বিদ্যমান উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং ১৪ জন বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার ছাড়া অন্যদের শেয়ার বরাদ্দ করেছে। কেন শুধু বিদ্যমান উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে এবং কেন তারা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) হিসেবে জমা দেয়নি এজন্য কোম্পানির কাছে একটি প্রশ্ন পাঠিয়েছে ডিএসই। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে ডিম্যাটেরিয়ালাইজড আকারে শেয়ার জমা দেয়ার জন্য রেকর্ড ডেট ঘোষণা করেছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, উল্লিখিত তিন কোটি শেয়ারের মধ্যে রিভারস্টোনের কাছে ১৯ লাখ ২৪ হাজার, কাজী রাফি আহমেদ ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬২টি, এনএসআরএ ইক্যুইটিজ ১৭ লাখ ২৫ হাজার, এমকে ফুটওয়্যার ১৭ লাখ ২৫ হাজার, কাজী আজিজ আহমেদ ৫ লাখ ৩৩ হাজার, এনএএসসিএফএস ইক্যুইটিজ ৮১ লাখ ৫০ হাজার, কাজী নাফিজ আহমেদের কাছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৮টি, আহমেদ ফারাবি চৌধুরী ২০ লাখ, নিরোদ বড়ুয়া ৮ লাখ ৮০ হাজার, এসএএম ইক্যুইটিজ ১৭ লাখ ২৫ হাজার, হায়াত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৭ লাখ ৫০ হাজার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড ৫ লাখ ৫০ হাজার, হাবিব এন্টারপ্রাইজ ১৭ লাখ ৫০ হাজার, শিরিন্তা সাবীন চৌধুরী ৯ লাখ ৫০ হাজার, টিএস ইক্যুইটি অ্যান্ড ভেঞ্চার লিমিটেডের কাছে ২২ লাখ ৫০ হাজার, মো. আমিনুল হক ৮ লাখ ৪০ হাজার এবং লামিম এন্টারপ্রাইজের কাছে ১৯ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার ইস্যু করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ঋণের সুদে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার কাছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত ঋণের বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষ। রূপালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণের সুদে ছাড় দেয়া হয়েছে এবং কোম্পানি এ ছাড়ের সুবিধা নিয়ে ঋণটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকের কাছ থেকে সুদ ছাড় পাওয়ার পর কোম্পানিটিকে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ পরিশোধ করলেই পুরো ঋণের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য তহবিল সংগ্রহে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে বলে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ পয়সা।

 সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৩ পয়সায়।

এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০