তিন কোম্পানির ঋণমান নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড, গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস লিমিটেড ও ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং), আরগুস ক্রেডিট সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল) ও ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফা রেটিং।

কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১০। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে এসিআরএসএল।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। আর ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা ২১ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩৪ পয়সা।

২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ২১৭ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা সাত কোটি ২০ লাখ। মোট শেয়ারের মধ্যে ৬৯ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ  উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এবং ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৫০। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ২৮ দশমিক ৪১।

ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে এনসিআর।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ১২ শতাংশ বা দুই টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ এক হাজার ৩৭৭টি শেয়ার ৮৭২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৩০ লাখ ৪২ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা তার আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩২ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৭ পয়সা ও ৫০ টাকা ৪২ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে সাত কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর হয়েছিল ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০