নিজস্ব প্রতিবেদক: সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আরগন ডেনিমস লিমিটেড এবং বঙ্গজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) ও ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্পমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)।
১৯৯৯ সালে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
কোম্পানির মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বাকি ৬৪ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
আরগন ডেনিমস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্পমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৬ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৬ কোটি ৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৫৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাতে ৬ দশমিক ৪৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ৩৩।
বঙ্গজ লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি প্লাস’ আর স্বল্পমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।