আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন’ (আইএসও) সনদ অর্জন করেছে ওয়ালটন মোবাইল। প্রতিষ্ঠানটির জানিয়েছে, প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন
ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তিনটি ক্যাটেগরিতে এ সনদ অর্জন করেছে। সনদগুলো হচ্ছে আইএসও ৯০০১:২০১৫ (কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম), আইএসও ১৪০০১:২০১৫ (এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ও আইএসও ৪৫০০১:২০১৮ (ওকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)।
আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমানের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশসহ কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য এ তিন ক্যাটেগরিতে আইএসও সনদ পেয়েছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউনাইটেড কিংডম অ্যাক্রেডিটেশন সার্ভিসের (ইউকেএএস) অন্তর্ভুক্ত ইউরোপভিত্তিক নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান এজেএ বাংলাদেশ কারখানার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার পর ওয়ালটনকে এ সনদ দিয়েছে।
ওয়ালটন মোবাইলের হেড অব অপারেশনস এসএম রেজওয়ান আলম বলেন, ক্রেতাচাহিদা অনুযায়ী উচ্চ গুণগত মানের মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সরবরাহ করায় কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ওপর আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ পেয়েছে ওয়ালটন। গ্রাহক ও অন্য অংশীজনদের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ও মানসম্পন্ন মোবাইল ফোন উৎপাদন, সরবরাহ ও মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এ স্বীকৃতি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
পরিবেশ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কারখানার সবখানে পরিবেশগত কর্মদক্ষতা বাড়ানোর স্বীকৃতিস্বরূপ আইএসও ১৪০০১:২০১৫ (এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সনদ অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোয়ালিটি ও এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পাশাপাশি উচ্চমানের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশসহ উত্তম নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য ওয়ালটন ডিজি-টেক পেয়েছে আইএসও ৪৫০০১: ২০১৮ সনদ। এটি দেওয়ার ক্ষেত্রে কারখানার কর্মপরিবেশ কতটা পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর, ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ তা বিবেচনা করা হয়েছে। এ সনদ অর্জনের মাধ্যমে কর্মিবান্ধব নিয়মনীতি ও কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতেও ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ উচ্চমানের বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দেশের প্রথম ও একমাত্র মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হয়। কারখানা চালুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মোবাইল ফোন উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ স্মার্টফোন ও ৪৪ লাখ ফিচার ফোন। সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ আকর্ষণীয় ডিজাইনের হ্যান্ডসেট দিয়ে গ্রাহকপ্রিয় হয়েছে ওয়ালটন।
আইএসও সনদ প্রাপ্তির ফলে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন মোবাইল ফোনের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেইসঙ্গে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগয্ক্তু ফোন বিশ্ববাজারে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।