প্রতিনিধি, নীলফামারী: নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও পাশাপাশি অবস্থিত তিনটি জেলা। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। খানসামার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের জয়গঞ্জ ঘাটের পাড় দিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি নৌকা। প্রতিদিন নৌকাটি দিয়ে তিন জেলায় যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ।
যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা হওয়ায় পণ্যসামগ্রী আনা-নেয়া, কর্মস্থলে যাওয়া-আসাসহ প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগ। বর্ষাকালে নদীর অথৈই পানিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তি এড়াতে বাড়তি ঘুরতে হয় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীটিতে নির্মাণ হয়নি সেতু। স্বামীর বাড়ি খানসামার আলোকঝাড়ি থেকে বাবার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছিলেন শিউলি বেগম। তিনি বলেন, ‘আধাঘণ্টা ধরে নৌকার জন্য বসে আছি। সেতু থাকলে এতক্ষণে বাবার বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতাম।’
ঠাকুরগাঁও থেকে নীলফামারী আসা আশরাফুল ইসলাম নামের একজন মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, ‘বীরগঞ্জ দিয়ে নদী পার হয়ে নীলফামারী ঢুকতে আমার সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। কিন্তু নদী পার না হয়ে যদি বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি তাহলে আমার সময়তো যাবেই, উল্টো ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাড়তি পথ ঘুরতে হবে। তাই একটু কষ্ট হলেও ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছি।’
সেতু নির্মাণের বিষয়ে খানসামা উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ওইখানে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এজন্য ঢাকা থেকে আমাদের একটি ডিজাইন পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো নির্দেশনা আসেনি আমাদের কাছে।’