নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসানে রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে এসে লোকসান কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দুই পয়সা। সে হিসাবে ২০১৫ সালে আয় করলেও পরের বছর লোকসান করেছে। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল আট টাকা ৩০ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল আট টাকা ৭৫ পয়সা।
অন্যদিকে, ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রন্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ছিল পাঁচ পয়সা। ২০১৬ সালের দুই প্রান্তিক জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৮ পয়সা, আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল সাত পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে সাত টাকা ৯৬ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল আট টাকা ৭৫ পয়সা।
অপরদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ ১৭) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৬৫ পয়সা। তিন প্রান্তিক ২০১৬ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ছয় পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯০ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে সাত টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল আট টাকা ৭৫ পয়সা।
গতকাল শেয়ারদর তিন দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ পাঁচ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩টি শেয়ার মোট ৪২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ছয় টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর পাঁচ টাকা ৩০ পয়সা থেকে আট টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ওই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে আট টাকা ৭৫ পয়সা।
এক হাজার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮২৮ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। মোট শেয়ারের মধ্যে চার দশমিক ১৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, বিদেশি ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ ও বাকি ৬৯ দশমিক ৬২ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।