নিজস্ব প্রতিবেদক: এডি (অথোরাইজড ডিলার) শাখা ছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ডলার কেনাবেচা করতে নতুন করে আরও তিন ব্যাংক ১২৬ শাখার জন্য আবেদন করেছে। এ আবেদন আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাধারণ শাখায় নগদ ডলার বেচাকেনার জন্য অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন সুবিধার্থে নন-এডি শাখায় নগদ বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার সুযোগ দেয়া হবে। অনুমোদন পাওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে ১৭ আগস্টের মধ্যে শাখাগুলোকে তালিকা পাঠাতে বলা হয়। যদিও এ তালিকা এখনও পাঠাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
জানা যায়, নতুন আবেদনসহ এ পর্যন্ত ৭৯২টি শাখার জন্য আবেদন করেছে ২৬টি ব্যাংক, যা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ডলার বেচাকেনার জন্য শুধু ২০০ এডি শাখা অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সারাদেশে এ ধরনের শাখা খুবই কম। রাজধানীর ঢাকাসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরেই বেশিরভাগ শাখা। ফলে নগদ ডলার বেচাকেনার জন্য মানি চেঞ্জার ওপরেই বেশি নির্ভর করতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকদের। তাই মানি চেঞ্জারের ওপর অধিক চাপ কমাতেই ব্যাংকের এডি শাখার বাইরে নগদ ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এইদিকে খোলাবাজারে ডলারের অস্থিরতা কমাতে মানি চেঞ্জারগুলোকে ডলার ক্রয় ও বিক্রির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাফেদা ডলারের যে রেট নির্ধারণ করে দেবে তার থেকে একটা বেশি দামে ডলার কিনবে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। বিক্রির সময় মানি চেঞ্জারগুলো কেনা রেট থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দাম নেবে।