নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ও বেসরকারি দুটি ব্যাংকের তথ্য গোপনের জরিমানা মওকুফ নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন গ্রাহকের ঋণমানের তথ্য গোপন করায় জরিমানা করা হয়েছিল অগ্রণী ব্যাংককে। একই অপরাধে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংককেও জরিমানা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪১৭তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বোর্ড সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়া পর্যটন খাতের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে আরও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল ও থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য আট শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকার স্কিম গঠন করা হয়। সব মিলে এ খাতে ঋণ দেয়ার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন সম্পন্ন হলো। তবে মোট সুদের চার শতাংশ দেবে সরকার ও বাকি চার শতাংশ গ্রাহকদের দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, কভিড মোকাবিলায় এরই মধ্যে নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছর মুদ্রানীতিতেও বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, সিএমএসএমই, বৃহৎ শিল্প, রপ্তানিমুখী শিল্প ও সেবা খাতের জন্য এরই মধ্যে নেয়া পুনঃঅর্থায়ন স্কিম বর্ধিতকরণের পাশাপাশি অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মচারী এবং বেসরকারি শিক্ষা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন। নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
তাহেরা অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড ও রুপা শিপিং লাইন্সের ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করায় অগ্রণী ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরিমানা মওকুফে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সিআইবি রিপোর্টে ঋণ তথ্য গোপন করার অভিযোগে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ওপর আরোপিত জরিমানাও মওকুফ করা হয়নি। এমটিবির গ্রাহক মামুন এন্টারপ্রাইজের ঋণ তথ্য গোপনের জন্য জরিমানা করা হয়।
এদিকে প্রস্তাবিত ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’-এর অনুকূলে ইস্যু লেটার অব ইনটেন্টের শর্তাবলি পূরণের সময় বাড়ার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। ২০২০-২১ অর্থবছরের তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।