নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলার বেচাকেনায় নিয়ম না মানায় তিনটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা ধানমন্ডি, পল্টন, মতিঝিল ও বনানী এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় গিয়ে দেখেন বেশিরভাগ মানি চেঞ্জার নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়াই বিদেশি মুদ্রা লেনদেন করায় ১১টি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি পরিদর্শক দল অভিযান পরিচালনা করছে। খোলাবাজারে ডলারের কারসাজি পরিদর্শনে অনিয়ম পাওয়ায় কয়েকটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে যেসব মানি এক্সচেঞ্জ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করছে, তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়ে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
রাজধানীর ফকিরাপুলের বিসমিল্লাহ মানি চেঞ্জার, পুরানা পল্টনের অঙ্কন মানি চেঞ্জার এবং নয়াপল্টনের ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি এক্সচেঞ্জের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেগুলোর নাম বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করেনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা ২৩৫টি। এর মধ্যে ২০২টি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
এর আগে ডলারের বাজার স্বাভাবিক করতে গত বুধবার মাঠে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জ হাউস ও খোলাবাজার পরিদর্শন শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১০টি পরিদর্শক দল। কারণ গত মঙ্গলবার কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১১২ টাকায় বেচাকেনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান শুরু করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযান চলার মধ্যে গতকাল সোমবারও খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে।