শেয়ার বিজ ডেস্ক: হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়ছে চীনে। সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়ায় কয়েকটি প্রদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটি। একই সঙ্গে গণটিকা কার্যক্রমের আওয়ায় দেশের বেশিরভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় এনছে চীন। এরপরও সংক্রমণ বেড়েই চলছে দেশটিতে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নতুন করে ৯৩ জন শনাক্ত হয়েছে, যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। খবর: সিনহুয়া, বিবিসি।
চীনের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ দ্য ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯ জন রাজধানী বেইজিংয়ের। এছাড়া চীনের উত্তর, উত্তরপূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ হেইলংজিয়ান, হেবেই, গানসু, ইনার মঙ্গোলিয়া, নিংজিয়া ও কিংহাই, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিয়াংশি, সিচুয়ান ও ইউনান প্রদেশেও নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের বিস্তাররোধে কঠোর অবস্থানে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। তারপরও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন কমবেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। তবে বেইজিংকে বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে দেশটির সরকার। ফলে গত অক্টোবর পর্যন্ত বেইজিংয়ের কভিড পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের নড়ে চড়ে বসেছে সরকার। রাজধানীর প্রতিটি শপিংমল, সুপার মার্কেট, হোটেল, সিনেমা হল ও মেট্রোরেলের স্টেশনে প্রতিটি মানুষের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। দেশটির সেনা সদস্যরা পুরো প্রক্রিয়াটির দেখভাল করছেন।
পাশাপাশি, বেইজিংয়ের স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীদের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করাসহ অতি প্রয়োজনীয় কারণ ব্যতীত সামাজিক সম্মিলন (সোশ্যাল গ্যাদারিং) বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি মৃতদেহের সৎকারেও সীমিতসংখ্যক মানুষের বাইরে অন্যদের উপস্থিত না থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীবাসীকে শহর থেকে আপাতত বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং স্থানীয় সরকার।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বেইজিংয়ের প্রধান দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেইজিং ডাক্সিং এয়ারপোর্টে ৬০ দশমিক চার শতাংশ এবং বেইজিং ক্যাপিটাল এয়ারপোর্টে ৪৯ দশমিক আট শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটির সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা এয়ার চায়না ইতোমধ্যে জানিয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাবতীয় ফ্লাইট বন্ধ রাখবে সংস্থাটি।
কভিড আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়েছিল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। কভিডে প্রথম মৃতুর ঘটনাও ঘটেছিল উহানে।