তিন রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও মাসিক ভিত্তিতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ কর্মকর্তারা হলেনÑকাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কিশোরগঞ্জের উপকমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা, রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান ও জহিরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক ঘুষ আদায় এবং সরকার-নির্ধারিত ভ্যাটের কম ভ্যাট নির্ধারণ করে বাকি টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়া ও মামলা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযানকালে কিশোরগঞ্জ শহরের সুগন্ধা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, গাংচিল রেস্টুরেন্ট, মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার, পানসি রেস্টুরেন্ট ও লাজ ফার্মা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রির বিল ভাউচার যাচাই করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে গাংচিল রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার দুদককে জানান, তিনি প্রতি মাসে চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেন, কাস্টমস বিভাগের কাউকে মাসিক ঘুষ বাবদ দেন না।

অভিযোগের বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল আলম ও ওয়াহিদুজ্জামান খান দুদকের কাছে দাবি করেন, অভিযোগ সত্য নয়। তারা জানান, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ টাকা কিংবা ঘুষ নেন না। ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের টাকা নির্ধারিত হারে চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেন।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযানে প্রাপ্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদকের অভিযান ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহিদুজ্জামান খান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমাদের উপ-কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি নন। তিনি সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেসব ব্যবসায়ী ভ্যাট ফাঁকি দিতে চান, তারাই এ ভুয়া অভিযোগ করেছেন। এর কোনো সত্যতা নেই। কোনো প্রমাণও নেই তাদের কাছে।’

দুদক সূত্র জানিয়েছে, সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন ও সহকারী পরিচালক বুলু মিয়ার সমন্বয়ে গত সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০