Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 1:07 pm

তিন সিটিতে চলছে ভোটগ্রহণ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে তিন সিটি এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে।
প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো চিহিৃত করে সেখানে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থাও রেখেছে প্রশাসন। মাঠে রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলেই সব কটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা তাদের নেতাকর্মীদের ওপর নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন অনেকবার। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কার কথাও বলেছেন তারা। তবে বারবারই নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিঃসংকোচে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিন সিটির মধ্যে সিলেট মেয়র পদে প্রার্থী সাতজন। এর মধ্যে একজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি ছয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), সিপিবি-বাসদের মো. আবু জাফর (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহছানুল হক তাহের (হরিণ)। ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১২৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৬২ জন। এ সিটিতে ভোটারের ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন।

রাজশাহী সিটিতে এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮। মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতি)।

বরিশালে ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৩ এবং ভোটকক্ষ ৭৫০টি। ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবাইদুর রহমান মাহাবুব (হাতপাখা)।