তুং হাই নিটিংয়ের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি ধরা পড়েছে। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‘এ’ ক্যাটাগরির তুং হাই নিটিংয়ের আর্থিক বিবরণীতে সমাপ্ত হিসাববছরে তুং হাই সোয়েটারস লিমিটেডের কাছে ৪৪ কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার ৫৯ টাকা পাওনা দেখানো হয়েছে। আগের বছরে কোম্পানিটির পাওনা দেখানো হয়েছে ৪১ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার পাঁচ টাকা। যদিও কোম্পানিটির ব্যাংকঋণ দেখানো হয়েছে ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ২৯৩ টাকা। সে অনুযায়ী কোম্পানির আর্থিক বিবরণীতে লাভ-ক্ষতি ও অন্যান্য আয় বিবরণীতে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৩ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ’১৬) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৩৪ শতাংশ। কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছরের একই সময় ছিল ৩৫ পয়সা। একই সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা।

কোম্পানিটির গত ১৮ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই বোনাস লভ্যাংশ। এ সময় আলোচিত সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৬ পয়সা। আর এনএভি হয়েছে ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। আজ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট ছিল ২৪ নভেম্বর। রাজধানীর আইডিইবি ভবনে সকাল ১০টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৯৬ কোটি টাকা। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ১৫ কোটি টাকা মাত্র।

তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তিন কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৩৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫১০তম সভায় কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন দেয়। ওই সভায় কোম্পানিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের তিন কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি দেয় বিএসইসি।

বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, উত্তোলিত টাকা চলতি মূলধন, মেশিনারিজ ক্রয় এবং টার্ম ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর কাজে ব্যয় করে কোম্পানি।

কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক চার শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ৫৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০