শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কের চাপে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) এক সদস্যকে আঙ্কারার কাছে হস্তান্তর করেছে সুইডেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের অংশ হিসেবে সুইডেন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর: আল জাজিরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্র পিকেকের গোষ্ঠীর সদস্যপদের জন্য মাহমুদ তাতকে ছয় বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল তুরস্ক। ২০১৫ সালে সে সুইডেনে পালিয়ে যায়। সেখানে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
এরপর তাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করে তুরস্ক। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মাহমুদকে তুরস্কের হাতে তুলে দিল সুইডেন। মাহমুদকে ইস্তাম্বুল বিমানন্দরে পাঠানো হলে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্য পদ পেতে গত মে মাসে আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এ আবেদনের বিরোধিতা করে জোটের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। তাদের দাবি, হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও তুরস্ক-সুইডেন একে অপরের নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে বলে একটি চুক্তিতে যৌথ স্বাক্ষরের পর আপত্তি প্রত্যাহারে সম্মত হয় আঙ্কারা।
গত জুনে দেশ দুটিকে ন্যাটো সদস্য করতে রাজি হয় তুরস্ক। দেশটি লিখিতভাবে জানায়, নতুন দুই দেশের সদস্যপদ গ্রহণে কোনো আপত্তি নেই তাদের। তাদের অবস্থান পরিবর্তনের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তুরস্ক।
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে পিকেকের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তুরস্ক। কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত। আঙ্কারার দাবি, নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে পিকেকে সন্ত্রাসীরা। তবে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে পিকেকে’কে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও তাদের সহায়তা করে যাচ্ছে বলে দাবি তুরস্কের।