শেয়ার বিজ ডেস্ক: কৃষ্ণ সাগর হয়ে তুরস্কের বন্দরে পৌঁছেছে ইউক্রেনীয় গমের দ্বিতীয় চালান। পালাউ-পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার আরোয়াট ১৭ হাজার ৬০০ টন গম নিয়ে গত শুক্রবার বন্দর শহর চোরনোমরস্ক ছেড়ে মিসরের উদ্দেশে রওনা হয়। গতকাল রোববার এটি ইস্তানবুলে পৌঁছায়। খবর: ফ্রান্স২৪।
যুদ্ধের জেরে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে বাধা দেয় রাশিয়া। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। সংকট সমাধানে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে একটি চুক্তিতে রাজি হয় রাশিয়া। তবে গত জুলাইয়ে সেই চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। এতে ফের বিপাকে পড়ে বিশ্ব।
কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ৩২ মিলিয়ন বা তিন কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য রপ্তানি করেছে। রাশিয়ার অভিযোগ, যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য গরিব দেশগুলোয় পৌঁছাচ্ছে না। জাতিসংঘের দাবি, তারা যেসব দেশে খাদ্যশস্য পাঠাচ্ছে, সেখানে খাদ্যশস্যের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় ২০ শতাংশ কম।
বিশ্বব্যাপী খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে গরিব দেশগুলো। গত বছরের মার্চে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এই বলে সতর্ক করে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কেননা, খাদ্যশস্যের ৫০ শতাংশই আসে ইউক্রেন থেকে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকা ৩৭০ কোটি টন গম আমদানি করে রাশিয়া থেকে, যা আফ্রিকার মোট রপ্তানির ৩২ শতাংশ। একই সময়ে ইউক্রেন থেকে ১৪০ কোটি টন আমদানি করে, যা মহাদেশটির মোট রপ্তানির ১২ শতাংশ।
ইউক্রেন এখন শস্য রপ্তানিতে নতুন রুটের পরীক্ষা চালাচ্ছে। ন্যাটো সদস্য বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই রুটগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমার বাইরে।
মেরিন ট্র্যাফিক এবং ভেসেল ফাইন্ডার ওয়েবসাইট অনুসারে, গতকাল বেলা ৩টায় আরোয়াট জাহাজটি বসফরাস প্রণালির দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি ভূমধ্যসাগরে পৌঁছানোর জন্য ডার্দানেলেস প্রণালির দিকে এগোচ্ছিল।