শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কে আজ রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর: বিবিসি।
গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কেমাল কিলিকদারোগলো। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত দলকে ‘এক হতে’ দেখা যায়নি।
এবার এরদোয়ান ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে। গত শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ৭৪ বছর বয়সী কেমাল দাবি করেন, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার নিজ স্বার্থ হাসিলে পার্লামেন্টের ক্ষমতা কমিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ এ রাজনীতিবিদ কথা দিয়েছেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে পার্লামেন্টের পুরোনো ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন।
নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কেমাল এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। কেমালের সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছেন তাদের প্রার্থী আজকের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রথম দফায় তার জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দু’জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কেমালের সমর্থকরা আশা করছেন, রানঅফ নয়, আজই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট তিনি পাবেন।
তুরস্কে এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৫০ লাখ তরুণ। এদিকে এবারের নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে মুহারেম ইনস নামের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়টি এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে।
কেমাল জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তুরস্কে নারীদের হিজাব পরার যে অধিকার রয়েছে, এতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।