তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি হস্তান্তর শুরু

শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি প্রদেশ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এবং ধ্বংস হয়ে যায় লাখ লাখ বাড়ি। এরপর বিধ্বস্ত এলাকায় নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এরই অংশ হিসেবে ভুক্তভোগীদের মাঝে গত শনিবার কিছু নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর: রয়টার্স।

তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসে এই ভূমিকম্পকে সবচেয়ে মারাত্মক বলা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল।

এরদোয়ান বলেন, আজকে আমরা হাতায়ে এলাকায় ৭ হাজার ২৭৫টি বাড়ি হস্তান্তর করছি। এই অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার বাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

বিধ্বস্ত এলাকায় আগামী দুই মাসের মধ্যে ৭৫ হাজার বাড়ি হস্তান্তর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এরদোয়ান। তুরস্কের সরকার এ বছরের মধ্যে দুই লাখ বাড়ি হস্তান্তর করবে।

তুরস্কের নগরায়ণমন্ত্রী মেহমেত ওজাসেকি জানান, ভূমিকম্পে দক্ষিণাঞ্চলের মোট ৬ লাখ ৮০ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার পরিবার বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে।

গত শুক্রবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, দেশটিতে আঘাত হানা ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫৩ হাজার ৫৩৭ জন মারা গেছেন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজারে।

ওদিকে সিরিয়া সরকার জানিয়েছে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়। কিন্তু উত্তর সিরিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৪ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটিতে ৫৯ হাজার ৪৮৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হয় পেরুতে। ১৯৭০ সালের ভূমিকম্পে দেশটিতে ৬৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০