শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) ডলারের একটি তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা সফরে গিয়ে আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ এ ঘোষণা দেন। খবর: ডেইলি সাবা, ডব্লিউএএম।
ইউএই’র রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমিরাতের পক্ষ থেকে তুরস্কের বিভিন্ন খাতে কৌশলগত বিনিয়োগে তহবিল বরাদ্দের এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তুরস্ক সফর করছেন। বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া তুরস্কের বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ক্রাউন প্রিন্স। বৈঠকে তুরস্কে পারিস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন ক্রাউন প্রিন্স। একে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ বলে বর্ণনা করেছে আরব নিউজ।
ডব্লিউএএম জানিয়েছে, তুরস্কের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ।
আমিরাতের এ তহবিল দিয়ে মূলত কৌশলগত বিনিয়োগ বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএএম।
লিরার আরও অবমূল্যায়ন: এদিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার আরও অবমূল্যায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সম্প্রতি সুদহার কমানোর ঘোষণা দেয় তুর্কি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার এ পরিকল্পনার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার এ অবস্থান ঘোষণার পর ১৫ শতাংশ কমেছে লিরার দর।
এ মুহূর্তে ডলারের বিপরীতে সর্বনিন্মে আছে তুরস্কের মুদ্রার দাম। বর্তমানে এক ডলার সমান ১৩ লিরা। ১১ দিন ধরে টানা দরপতন চলছে লিরার। সেপ্টেম্বর থেকেই সুদহার কমাতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চাপ দিয়ে আসছেন এরদোয়ান। এটিকেই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এমন অনিশ্চয়তাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছেন। ফলে চলতি বছরই লিরার দাম কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে নি¤œমানের মুদ্রার একটি। তা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন এরদোয়ান। তার যুক্তি হলো, উচ্চ সুদহার মূল্যস্ফীতিকে কমায় না। নিজের এ দৃষ্টিভঙ্গি কয়েক বছর ধরেই দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন তিনি।