শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি ও ডেইলি সাবাহ।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। এর ১৫ মিনিট পর ভূমিকম্প-পরবর্তী একটি পরাঘাত হয়। পরাঘাতটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
তুরস্কের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্পে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। প্রায় ৮৪ বছর পর এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন সাত শতাধিক।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও টারটাসে ২৮৪ জন নিহত এবং ৬৪৮ জন আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন দুই দেশের মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভূমিকম্পে দেশ দুটির অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনের ভেতরে অনেক লোক আটকে থাকতে পারেন। ফলে প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা উভয় দেশের কর্মকর্তাদের।
কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত এক শতাব্দীর মধ্যে এ অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি।
রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের অন্যান্য শহরেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ ছাড়া সিরিয়াসহ তুরস্কের প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একই সঙ্গে তিনি এই বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিরূপণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউএসএইড ও অন্যান্য ফেডারেল দেশগুলোকে তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান
এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।