তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যু ৩৪ হাজার ছাড়াল

শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হতে পারে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৬০৫-এ পৌঁছেছে। সিরিয়ায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি।

এ দিকে, ভূমিকেম্পে আহত প্রায় লাখের কাছে পৌঁছে গেছে। শুধু তুরস্কেই ছয় হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গিয়েও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

তুরস্কে ভূমিকম্পের প্রায় ১৫২ ঘণ্টা পর গতকাল রবিবার ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার আগে ১৪৭ ঘণ্টা পর ধ্বংস্তস্তূপের নিচ থেকে হাতায় প্রদেশ থেকেই কুডি নামের এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধারের পর উদ্ধারকারীরা কুডিকে বলেন, ‘তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।’ উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকাগুলোতে আট লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সংকটে রয়েছেন। বিপত্তি আরও বাড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা। এতে ভূমিকম্পের কবল থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা যেমন কষ্টে রয়েছেন, তেমনই বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ব্যাপক ক্ষয়িক্ষতি হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০