নিজস্ব প্রতিবেদক: তুলা আমদানিতে ফিউমিগেশন চার্জ কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, তুলা আমদানিতে সম্প্রতি ফিউমিগেশন চার্জ ক্ষেত্রবিশেষে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশের স্বার্থে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেএসব ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুলা আমদানির অনুমোদন আমরা দেই। তবে তুলা আমদনির পর এর সঙ্গে কোনো রোগ-জীবাণু আছে কি না সেটার জন্য পোর্টে ফিউমিগেশন করতে হয়। এ জন্য একটা ফি দেওয়া লাগে। আমদানিকারকদের সেই চার্জ দিতে হয়। এর আগে এসব ক্ষেত্রে যে পরিমাণ চার্জ ছিল সেটা সম্প্রতি ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। টাকার অঙ্কে বেশি নয় হয়তো পাঁচ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকসহ যেসব সংস্থা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের সূচক নির্ধারণ করে তারা এটাকে খুব নেগেটিভভাবে দেখছে।
তিনি বলেন, ফিউমিগেশনে ফি প্রতি বেলে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে তুলা আমদানি করার সময় সেখানেই একবার ফিউমিগেশন করা হয়। আবার দেশে এনে ফিউমিগেশন করলে খরচ বাড়ে। ফলে আমেরিকা সরকারও এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতাম। এখন সেটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্জন হয় তৈরি পোশাক থেকে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পের মূল কাঁচামাল হচ্ছে কাপড়। এ কাপড় আগে আমরা আমদানি করতাম। কিন্তু বর্তমানে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বাড়ায় কাপড় পুরোটাই দেশে উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের দেশে কাপড় তৈরির জন্য কাঁচামাল তুলা চাষ করি না। তাই তুলা আমদানি করতে হয়। তুলা আমদানি করার সময় তুলার সঙ্গে পোকামাকড় বা রোগ-জীবাণু আসছে কি না সেটা দেখতে হয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে।
তুলা আমদানিতে ফিউমিগেশন চার্জ কমানোর আশ্বাস
