Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:33 pm

তৃতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়েছে লুব-রেফের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৫ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৪ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৭ পয়সা। এছাড়া তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৩৭ টাকা ৯৫ পয়সা।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৪৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ছয় টাকা এক পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৫ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা।  কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৪১ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার।