নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৭৪ পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই প্রান্তিকে কোম্পানির বিক্রি কমে যাওয়া এবং ফাইন্যান্স চার্জ বাড়ার কারণে কর-পরবর্তী মুনাফা কমে গেছে। আবার যেহেতু বিক্রি কমেছে তাই কালেকশনও কমেছে এবং সাপ্লায়ারদের পেমেন্ট বাড়ার কারণে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ কমেছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৭৪ পয়সা কমেছে। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৯ টাকা ২৯ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) ইপিএস হয়েছে এক টাকা এক পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ২৩ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় চার টাকা চার পয়সা ছিল।
এদিকে ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা। দিনজুড়ে চার লাখ ৩৭ হাজার ৭২৭টি শেয়ার মোট ২০৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ২২ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৯২ পয়সা ও ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ২০০টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।
