তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিডের ধাক্কার মধ্যেই দুর্দান্ত গতিতে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। কভিডের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের প্রভাবে সেই গতিতে ফের মন্দার ছাপ। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে প্রবৃদ্ধি আবার কমেছে দেশটির। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দুই শতাংশ। অথচ এর আগের প্রান্তিক বা এপ্রিল-জুনে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ছয় দশমিক সাত শতাংশ। খবর: রয়টার্স, ফিনান্সিয়াল টাইমস।

বিশ্লেষকরা বলছেন তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কারণ কভিডের কারণে সরবরাহ সংকট, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু জায়গায় নতুন কভিড বিধিনিষেধ আরোপ।

অবশ্য অক্টোবর থেকে কভিড সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই বছরের শেষে প্রবৃদ্ধি আবারও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তৃতীয় প্রান্তিকে কভিড-১৯-এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ঢেউ ওঠায় দেশের কিছু অংশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ হয়, কোনো কোনো জায়গায় লকডাউন কর্মসূচি দীর্ঘ করা হয়। যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া মহামারির মধ্যে ব্যবসার জন্য ঋণ ও অনুদান দিচ্ছিল দেশটির সরকার তাও কমানো হয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ সামাজিক সুবিধাও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে কমে গেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এর ফলে এই সময়ের মধ্যে বড় বড় পণ্যের বিক্রি ব্যাপক কমেছে। বিশেষ করে নতুন গাড়ির বিক্রি তীব্রভাবে কমে গেছে।

একই সময়ে মার্কিন সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিও হ্রাস পেয়েছে। কারণ, মানুষ বাইরে খাওয়া ও হোটেলে থাকার জন্য কম ব্যয় করেছেন।

বিমহামারি আঘাতের কারণে গত বছর মার্কিন অর্থনীতি তীব্রভাবে সংকুচিত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধ থেকে তা আবার ঘুরে দাঁড়ায়। তবে মাঝামাঝিতে এসে আবার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে অর্থনীতিতে। সেপ্টেম্বরে অর্থনীতিতে এক লাখ ৯৪ হাজার কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে, যা অর্থনীতিবিদরা পাঁচ লাখ হবে বলে আশা করেছিলেন। সে সঙ্গে বেড়েই চলে মূল্যস্ফীতি। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার পাঁচ দশমিক চার। এছাড়া বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মার্কিন অর্থনীতিতেও।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০