নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২৪ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৯০ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৩ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে কোম্পানির মোট ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ৬০ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৮টি শেয়ার মোট ৪০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর ৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা (লোকসান)। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান)।
