Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:11 pm

তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে রিং শাইন টেক্সটাইলের

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১৪ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা (লোকসান), যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৩ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান), ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৫ পয়সা (লোকসান)।

অন্যদিকে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ২৩ টাকা ১৭ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৫০ কোটি তিন লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ১১ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বিদেশি এবং ৬০ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওই দিন কোম্পানিটির ৪০০টি শেয়ার মোট একবার হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।