শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৯ বিলিয়ন ডলার (৬.৫ বিলিয়ন পাউন্ড) আয় করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। স্থানীয় সময় সোমবার ফেসবুক তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মার্ক জাকার বার্গের এ প্রতিষ্ঠানটি এমন সময় মোটা আয়ের খবর দিল, যখন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র নিয়ে চলছে তোলপাড়। খবর: বিবিসি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক জানায়, চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়া প্রান্তিকে আয় হওয়া ৯০০ কোটি ডলারের বিপরীতে গত বছর একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি আয় ছিল ৭৮০ কোটি ডলার। তুলনা করলে এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির আয় তিন মাসের প্রান্তিকে বেড়েছে ১২০ কোটি ডলার।
তবে বিবিসি বলছে, অ্যাপলের আইওএস ১৪ অপারেটিং সিস্টেমের সফটওয়্যার আপডেটের প্রভাব পড়েছে ফেসবুকের আয়ের হিসাবে। ওই আপডেটের কারণে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।
অন্যদিকে সাবেক কর্মীদের ফাঁস করা নথিপত্র আর তার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জেরে বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আইনপ্রণেতারা। বিষয়টির ওপর নজর রাখছে অস্ট্রেলিয়ার সরকারও। এদিকে তথ্য ফাঁসের কেলেঙ্কারির মধ্যেও সোমবার ফেসবুকের শেয়ারদর বেড়েছে এক দশমিক তিন শতাংশ। চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ হারে।
সোমবার ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকার বার্গ ভিডিও কনফারেন্সে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যা দেখছি সেটা হলো ফাঁস হওয়া নথিপত্র ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের মিথ্যা চিত্রায়নের সমন্বিত চেষ্টা।
৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া ১২ মাসে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় শতাংশ বেড়ে ২৯১ কোটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়লেও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় সেটা খানিকটা কম। আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে অ্যাপলের নতুন নীতিমালাকে। এদিকে চলতি বছরেই মেটাভার্স প্রকল্পের পেছনে এক হাজার কোটি ডলার খরচ করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘ফেসবুক রিয়ালিটি ল্যাবস’-এর অধীনে এ প্রকল্পটিতে অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও অন্যান্য কনটেন্ট নির্মাণ করছে ফেসবুক।