নিজস্ব প্রতিবেদক: আবার দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো ফজলে কবিরকে। এবার আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে তাকে তৃতীয় মেয়াদে নিয়োগ দিল সরকার।
গতকাল তার নিয়োগ চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে ফজলে কবিরকে নিয়োগ দিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২’ বিলে সংশোধন আনা হয়। সংশোধনের আগে গভর্নরের বয়সসংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছিল, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। নতুন সংশোধনীতে তা ৬৭ বছর করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফজলে কবিরকে তার বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ২০২২ সালের ৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরি ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। এরপরই ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
তখন তিনি বিদেশে ছিলেন এবং ফিরে এসে দেশের ১১তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০ মার্চ। গত ১৯ মার্চ তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে ফজলে কবিরের মেয়াদ তিন মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার।
এতে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর। এজন্য ৬৫ বছরে পদার্পণের দিন শুক্রবার হওয়া সত্ত্বেও তাকে গত ৩ জুলাই পর্যন্ত সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফজলে কবিরকে আবার নিয়োগ দিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২’-এ সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য চলতি সংসদে অর্ডারে দুটিতে সংশোধনী আনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারকে আইনে রূপান্তরিত করা হয়। ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২’ এখন থেকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধনী) অ্যাক্ট, ২০২০’ নামে অভিহিত হবে।
অপরটি হচ্ছে গভর্নরের বয়সসংক্রান্ত স্থানে ৬৫ বছরের পরিবর্তে ৬৭ হবে। এজন্য গত ৮ জুলাই সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’ পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সাধারণত সংসদে বিল উত্থাপনের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠান। তবে এ বিলের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।