নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃতীয় সাবমেরিন কেব্লে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সাবমেরিন কেব্ল স্থাপনে সংশ্লিষ্ট অংশ কেনার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আজকের (গতকাল) বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক তৃতীয় সবামেরিন কেব্ল স্থাপন সংশ্লিষ্ট অংশের ক্রয় কাজ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ কনসোর্টিয়ামের নিজস্ব ক্রয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
প্রকল্পের মূল কাজ এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে নতুন একটি সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন। অন্য কনসোর্টিয়াম কেব্লের মতো এসএমডব্লিউ-৬ সাবমেরিন কেব্লে প্রধানত দুটি অংশ রয়েছে। কোর অংশ ও ব্রাঞ্চ অংশ।
কোর অংশ হবে সিঙ্গাপুর থেকে জিবুতি, মিসর হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত মূল কেব্ল। ব্র্যাঞ্চ অংশ (বাংলাদেশ ব্র্যাঞ্চ) হবে কক্সবাজারের সঙ্গে মূল কোর কেব্লের সংযোগস্থল (ব্র্যাঞ্চিং ইউনিট) পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮৫০ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলন ব্যয় ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও বিএসসিসিএলের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অনুমোদিত ডিপিপির ক্রয় পরিকল্পনায় পণ্য সংগ্রহের জন্য চারটি ও পূর্ত কাজের জন্য দুটি প্যাকেজ রয়েছে। পণ্য সংগ্রহের একটি প্যাকেজ ‘সাবমেরিন কেব্ল ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম’ এর ক্ষেত্রে ক্রয় আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অন্যদিকে, আসন্ন রোজায় চালের দামে লাগাম ধরে রাখতে সরকার ভারত থেকে আরও দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। সরকারি গুদামের মজুত বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে অনুষ্ঠিত সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সরকারি পর্যায়ে ভারতের কৃষিবিষয়ক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির সভায় প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতের বেসরকারি কোম্পানি পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল দেশে খাদ্যের মজুত ছিল চার লাখ ৮৮ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ছিল তিন লাখ ৯৯ হাজার টন। গত ২৪ মার্চ ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। খাদ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, নিরাপদ মজুত থাকা উচিত ১০ লাখ টন।