তৃতীয় কটন ডে

তৃতীয় কটন ডে বা তুলা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনার ও ফ্যাশন শো’র আয়োজন করে কটন ইউএসএ। যুক্তরাষ্ট্রের মানসম্পন্ন তুলা পরিচিত করা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে তুলাজাত গার্মেন্ট পণ্যের প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া এর লক্ষ্য। এজন্য ২০১৬ সাল থেকে কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) কটন ডে পালন শুরু করে আসছে। এই
সেমিনার, গালা ইভেন্ট ও ফ্যাশন শোতে অংশ নেয় প্রায় ১০০ স্পিনিং মিল, গার্মেন্ট প্রস্তুতকারক ও তুলা ব্যবসায়ীসহ এজেন্টরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ দেশি-বিদেশি তুলা রফতানিকারক, গার্মেন্ট, স্পিনিং কারখানার মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশি স্পিনিং ও গার্মেন্টশিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ব্যবহার বাড়ানো ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলা সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেমিনারে অংশ নেয়। এ দলে ছিলেন আমেরিকান কটন শিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএসএ) প্রেসিডেন্ট রেমন্ড ফস, এসিএসের কর্মকর্তা টিম নর্থ, এএমসিওটির কর্মকর্তা কার্লোস গ্যারিকা, আমেরিকান তুলা উৎপাদনকারী জন লিন্ডামুড, স্টিভ উইলবার, আইসিই’র আইসিই ফিউচারস ভাইস প্রেসিডেন্ট টিম বেরি, এসইউপিআইএমএর প্রেসিডেন্ট মার্চ লিউকোইটজ ও কটন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর উইলিয়াম বেটেন্ডরফ।
বিশ্বে তুলা উৎপাদন, সরবরাহ, চাহিদা, যুক্তরাষ্ট্রের তুলার মান ও সহনশীলতাসহ সরবরাহ-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সেমিনারে উপস্থাপর করা হয়। এসব তথ্য কারখানা মালিকদের ব্যবসা-সংক্রান্ত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমবারের মতো সফরে ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (আইসিই) ফিউচারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রসঙ্গত, তুলা কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বের স্পিনিং মিলগুলো আইসিই ফিউচারসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
সেমিনারে মার্শিয়া বার্নিকাট বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে রফতানিসহ মোট রপতানির এক নম্বর গ্রাহক। মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশি শীর্ষ অ্যাপারেল ও গার্মেন্ট মালিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতমানের তুলা দিয়ে পোশাক উৎপাদন করুন, যার চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি আমদানিকারকদের যুক্তরাষ্ট্রের তুলাপ্রাপ্তিকে সীমিত করার বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার প্রশংসা করেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা পোকামাকড়মুক্ত রাখার জন্য আইন অনুযায়ী ফিউমিগেট করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তুলার সঙ্গে পাকিস্তানি তুলার প্রতিযোগিতা ঠেকাতে ১৯৬৬ সালে এ আইন করা হয়। তুলার মান নিশ্চিত ও পোকামাকড় নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিকারকরা বন্দরগুলোয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। ফলে পরবর্তীকালে ফিউমিগেশনের প্রয়োজন পড়ে না। ফিউমিগেশনের এই বাড়তি ধাপটির জন্য বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার আমদানি খরচ বেড়ে যায়, কারখানাগুলোর শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়।
ফ্যাশন শোতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইয়োলো, আমানত শাহ, কটন ইউএসএ লাইসেনসি ও কটন লিডস পার্টনার
মিলস-এনভয় টেক্সটাইলস লি., হামিদ ফেব্রিকস লি., স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশ ও ওয়েস্টার্ন পোশাকের প্রদর্শন করে। বাংলাদেশের তুলাজাত পোশাকের ঐতিহ্য তুলে ধরে ফ্যাশন শোতে শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ও তুলাজাত গার্মেন্ট পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০