তেঁতুলিয়ায় ঘন কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: সবুজ ধানের ডগায় ও চা-পাতায় শিশিরবিন্দু ঝরছে। ভোরের আলোয় চকচক করছে শিশিরবিন্দু। সেই শিশির ঝরা ঘাস মাড়িয়ে চাষিদের যেতে দেখা যায় আমনের সবুজ ক্ষেতে। গতকাল শুক্রবার ভোরে দেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া, আজিজনগর, সাহেবজোতসহ বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ভোর থেকে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকতে দেখা গেছে। ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার সন্নিকটে থাকায় এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই। হিমালয়ের প্রবহমান হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদর ঢেকে যাওয়ায় দেখা মিলছে দোরগোড়ায় শীত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না, তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে।

সকালে স্থানীয় হবিবর রহমান হবি ও আকতার হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা দেখছি। তবে শীত নেই। মনে হচ্ছে শীত এবার তাড়াতাড়ি নামবে। দিনের বেলায় খুবই গরম। পরিবেশ ও জলবায়ুকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন জানান, উত্তরে আশ্বিনেই পৌষের কুয়াশা, এ যেন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল মতো অশনি সংকেত! তবু মানুষ পরিমিতিবোধে নেই, সবুজায়ন সৃজনে আগ্রহ নেই। তাই সবাইকে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবতে হবে, সচেতন হতে হবে। আর যেহেতু উত্তরাঞ্চল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। তাই এখানে শীতের আগমন আগেই ঘটে। এ কুয়াশায় বোঝা যাচ্ছে, শীত পড়তে যাচ্ছে।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ জানান, সকালে হঠাৎই চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর সকালেও ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছিল। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০