নিজস্ব প্রতিবেদক: শৈত্যপ্রবাহ শেষ হওয়ার আগে কাঁপন ধরাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, যাতে থার্মোমিটারের পারদ ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। এ সময় ঢাকায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাঘের মাঝামাঝিতে এখন দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে মঙ্গলবার থেকে তা প্রশমিত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে শনিবারের দিকে ফের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, গতকাল সীতাকুণ্ডসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে।
এবার শীতে গত ডিসেম্বরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত ২৫ জানুয়ারি সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছয় দশমিক এক ডিগ্রিতে নামলেও বড় এলাকাজুড়ে শীতের দাপট দেখা যায়নি। জানুয়ারির শেষার্ধে এসে টানা কয়েক দিন অন্তত ১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। আট থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বলা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মৌসুমের প্রথম দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এখন চলছে চলতি মৌসুমের চতুর্থ শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়বে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহের তীব্র রূপ নেয়ার শঙ্কা নেই। এখন তাপমাত্রা বাড়ছে, ধীরে ধীরে এর বিস্তারও কমে আসবে।’
আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকায় ফেব্রুয়ারির প্রথমে হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে বলে জানান শাহনাজ সুলতানা। তিনি বলেন, ‘৪-৫ ফেব্রুয়ারির দিকে একটু বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে ফের তাপমাত্রা কমবে। এ সময় শীতের অনুভূতি বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা নেই।’
আজকের (মঙ্গলবার) পূর্বাভাসে জানানো হয়, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে।