তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৮২ ডলার ৭২ সেন্টে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালের পর ৮০ ডলারের ওপরে এবারই প্রথম সপ্তাহ শেষ হলো। বাজারে চাহিদার শক্ত অবস্থানের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
২০১৪ সালের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতন হলে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও নন-ওপেকপ্রধান দেশগুলো উৎপাদন কমাতে একমত হয়। এ সময়ে তারা প্রতিদিন ৯ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করত। ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এবং সরবরাহ কমে যাওয়ায় তেলের দাম আবার চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছায়। এতে ওপেক আবার দৈনিক উৎপাদন ১০ কোটি ব্যারেলে উন্নীত করে। তবে এখনও তেলের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাই বজায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য অংশীদার দেশ ও কোম্পানিগুলোকে চাপ দিচ্ছে, যাতে তেহরান থেকে তারা তেল না কেনে। ব্যবসায়ীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে তেলের দাম ব্যারেলে ১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। পণ্য ব্যবসায়ী ট্রাফিগুরা ও মারকারিয়া গতকাল জানান, ক্রিসমাসে তেলের দাম ৯০ ডলারে পৌঁছাবে এবং আগামী নভেম্বরে ইরানের ওপর মার্কিন অবরোধ কার্যকর করার পর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওপেকভুক্ত দেশগুলোকে উৎপাদন বাড়াতে চাপ দেন, কিন্তু ওপেক তাতে আগ্রহ দেখায়নি। এ বিষয়ে ওপেকের বৃহত্তম তেল উৎপাদক সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী খলিদ আল-ফালি জানান, উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষমতা তাদের আছে, কিন্তু এখন তার কোনো পরিকল্পনা নেই। রাশিয়ার তেলমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞায় সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এখনই উৎপাদন বাড়ানো যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের তেল আমদানি করতে বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র। যারা দেশটি থেকে তেল আমদানি করবে, তাদেরও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ হুমকিতে ইরান থেকে ইতোমধ্যে তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ভারতসহ কয়েকটি দেশ।