Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 12:17 pm

তেলের দাম বাড়ায় প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে সৌদি অর্থনীতি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে সৌদি আরবের অর্থনীতি। তেলনির্ভর দেশটির অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে অর্থনীতির সংকোচন হয়েছিল দশমিক সাত শতাংশ। খবর এএফপি।
লন্ডনভিত্তিক হিংক ট্যাংক ক্যাপিটাল ইকোনমিকস বলছে, সৌদি আরবের প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ানোর মূলে রয়েছে তেল খাত। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৩০ ডলারে নেমেছিল, যাতে সৌদি আরবের অর্থনীতিতে ২০০৯ সালের মন্দার পর প্রথম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গত চার বছর দেশটির বাজেট ঘাটতি ছিল। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশটি ঋণও করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দেশটি তেলবহির্ভূত খাতে জোর দেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থাও চালু করে দেশটি।
গত মাসে তেলের এ দাম বেড়ে ৮০ ডলারে পৌঁছেছে। দাম বাড়াতে শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও ওপেকবহির্ভূত দেশগুলো উত্তোলন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এর সুবাদেই দাম বাড়ল তেলের, যার সুফল পাচ্ছে তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। এর ফলে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির আয় বেড়েছে।
রিয়াদভিত্তিক জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট জানিয়েছে, গত এপ্রিলে সৌদি আরবের রিজার্ভ বেড়েছে ১৩ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের অক্টোবরের পর এটিই সবচেয়ে বড় রিজার্ভ বৃদ্ধির ঘটনা। ওই মাসে দেশটির মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৫০৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এটিও ২০১৪ সালের শেষের দিকের ৭৩২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। ২০১৪ সাল থেকে সৌদির মোট বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ৫২ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের শেষ সময় থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন শুরু হয়। ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে ওপেকভুক্ত দেশগুলো পণ্যটির সম্মিলিত উত্তোলন কমিয়ে আনতে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সম্মিলিত দৈনিক উৎপাদন ১৮ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মজুদ পাঁচ বছরের গড়ের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। রাশিয়াসহ ওপেকবহির্ভূত ১০টি দেশ এ চুক্তি মেনে পণ্যটির উত্তোলন কমাতে রাজি হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে এর মেয়াদ চলতি বছরেরর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।