Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:21 pm

তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এশিয়ার বেশিরভাগ পুঁজিবাজারে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: এশিয়ার বেশিরভাগ পুঁজিবাজারে গত বুধবার লেনদেন কম হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে বেশিরভাগ স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে। খবর: এপি।

বুধবার জাপানের প্রধান সূচক নিক্কেই ২২৫-এর উত্থান দেখা গেছে, এছাড়া বেশিরভাগ আঞ্চলিক পুঁজিবাজারের সূচক নিন্মমুখী ছিল।

অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দুইবার তেলের দাম বাড়ল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবার নীতি সুদহার বৃদ্ধি করবে।

এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনস এক মন্তব্যে বলেন, তেলের দাম যেহেতু বাড়ছে, প্রায় সব পণ্যে দাম তাই ঊর্ধ্বমুখী হবে। এ কারণে চ্যালেঞ্জে পড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এবং আর্থিক বাজারগুলো, অথচ তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক বৃদ্ধি পায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। এতে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হয় ৩৩ হাজার ২৬২ দশমিক ৪৮। সিউলের কোসপি সূচক শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে হয়েছে ২ হাজার ৫৬৬ দশমিক ১৬।

অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। তাদের পয়েন্ট হয়েছে ৭ হাজার ২৭৩ দশমিক ৩০। দেশটির সরকার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত প্রান্তিকে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রান্তিক হিসেবে এ বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমে পয়েন্ট হয়েছে ১৮ হাজার ৩১৪ দশমিক ৮৯। চীনের আবাসন খাতের দুরবস্থার প্রভাবে সূচক কমেছে। তবে পতন ঠেকাতে সহায়তা করেছে আবাসন খাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা।

সাংহাই কম্পোজিট সূচক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এতে তাদের পয়েন্ট হয় ৩ হাজার ১৪১ দশমিক ১৫।

গত মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিটের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে পয়েন্ট হয় ৪ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৮৩। একই দিন ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে, এতে তাদের পয়েন্ট হয় ৩৪ হাজার ৬৪১ দশমিক ৯৭। নাসডাক পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৪ হাজার ২০ দশমিক ৯৫-এ। এছাড়া রাসেল ২০০০ সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে অবস্থান করে ১ হাজার ৮৮০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে।

ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান পুঁজিবাজার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে (এনওয়াইএসই) বিক্রি বাড়লেও বেশিরভাগ সূচকের পতন ঘটেছে। বেশিরভাগ পতন হয়েছে শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা খাত ও আর্থিক খাতের শেয়ারগুলোয়। সিনতাস, মার্ক অ্যান্ড কোং ও জেপিমরগান চেজের শেয়ার সূচক কমেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৭, ২ দশমিক ১ এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ। এর বিপরীতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর গেইনারের তালিকায় ছিল। মাইক্রোসফটের সূচক ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সৌদি আরব ও রাশিয়া প্রতি মাসে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমানো বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। এর প্রভাব পড়ে জ্বালানি সূচকে। শেভরনের সূচক বৃদ্ধি পায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

বুধবার সকালে ব্রন্ট ক্রুডের দাম ১৪ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল দাঁড়িয়েছে ৯০ সেন্ট ১৮ ডলারে। এছাড়া ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ১২ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৮৬ সেন্ট ৮১ ডলারে।

একই দিন দি ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সেবা খাতের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ খাতে দেশটির সবচেয়ে বেশি কর্মী কর্মরত এবং এটি দেশটির অর্থনীতির অন্যতম অংশ বলে বিবেচিত। খাতটির সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বোঝা যাবে, ভোক্তা ব্যয়ের ওপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব।

চলতি সপ্তাহে উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করবে।