শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সেøাগান দেন। খবর: আল জাজিরা।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলে নতুন নির্বাচন এবং গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেছে। এর পর থেকে সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়ে আসছে। অনেক বিক্ষোভকারী ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ ও ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী সংগঠন ‘হোফশি ইসরায়েল’ বলছে, দেড় লাখের বেশি মানুষ শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটা ইসরায়েলে হওয়া বড় বিক্ষোভগুলোর একটি।
বিক্ষোভে অংশ নেন ৬৬ বছর বয়সী সাই এরেল। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি আমার নাতি-নাতনির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই আমি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি। এখন আমরা যদি বের হয়ে না আসি, আর ভয়ংকর এই সরকারের কবল থেকে পরিত্রাণ না পাই, তাহলে তাদের (শিশুদের) কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ জানিয়ে এরেল বলেন, নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) সব ইঁদুর বসে রয়েছে। আমি তাদের মধ্যে কাউকে কিন্ডারগার্টেনের পাহারাদার হতে দিতে পারি না।
তেল আবিবের গণতন্ত্র চত্বরে বিক্ষোভকারীদের অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এর আগে সেখানকার মাটি লাল রং করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, নেতানিয়াহুর হাতে আজ ইসরায়েলের গণতন্ত্র এভাবেই হত্যার শিকার হয়েছে। জমায়েতে যোগ দেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু দেশের সবচেয়ে বাজে প্রধানমন্ত্রী।
৫০ বছর বয়সী ট্যুর গাইড ইয়োরাম বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বলেন, প্রতি সপ্তাহান্তে বিক্ষোভে আসেন তিনি। নেতানিয়াহুর কারণে ইসরায়েলে নির্বাচন দরকার। আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে। আর আমরা যদি ২০২৬ সালের নির্বাচনের তারিখের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি, তাহলে সেটা আর গণতান্ত্রিক কোনো নির্বাচন হবে না।
একই দিন তেল আবিবের রাজপথে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের হাজার হাজার স্বজন ও সমর্থক।