শেয়ার বিজ ডেস্ক: তেলের উত্তোলন না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া ও সৌদি আরব। গত বছরের ফেব্রæয়ারিতে ইউক্রেন সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ কারণে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হওয়ার পর বাজার ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে চলতি বছরের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন হ্রাসের পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া ও সৌদি আরব। সামনের দিনগুলোয় এই ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি। খবর: রয়টার্স।
গতকাল সোমবার পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্বের শীর্ষ দুই তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশ। জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসেরও নেতৃত্বে রয়েছে এ দু’টি দেশ।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। এতে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে হু হু করে বাড়ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের দাম। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়তে থাকায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ জ্বালানি তেল কেনা কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয় এবং লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো।
এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারিতে প্রথম তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত জানায় রাশিয়া। তখন থেকে প্রতিদিন তিন লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করছে দেশটি। এর প্রায় দেড় মাস পর সৌদি আরবের জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিজেদের দৈনিক তেলের উত্তোলন ১ কোটি ব্যারেল থেকে ৯০ লাখে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।
গতকাল এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তেলের উত্তোলন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। সৌদি আরবের এই বিবৃতি দেয়ার কিছুক্ষণ পর এক বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত তেলের উত্তোলন বৃদ্ধি না করার ঘোষণা দেয় রাশিয়াও।
আগামী বছরের ২৬ মে ভিয়েনায় বৈঠক রয়েছে ওপেক প্লাসের। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে তেলের উত্তোলন বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত হবে ওই বৈঠকে।