শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আমাদের তেল কিনে আনতে হয়। প্রতি বছর ২৩ হাজার কোটি টাকা ডিজেলে ভর্তুকি দিতে হয়। আমরা প্রতিবছর বিদ্যুৎসহ সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। সরকার আর কতো ভুর্তুকি দিবে? তারপরও যাতে জিনিশপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপশি উৎপাদনর বাড়ানোর সব ব্যবস্থাও নিয়েছি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গনভবনে প্রধানমন্ত্রী তার যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স সফর সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কৃষকদের জন্য সারের দাম কমিয়েছি। যে সার ৯০ টাকা ছিল তা কমিয়ে ১৫-১৬ টাকা করেছি। কৃষিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছি। কার্ড করে দিয়েছি। এখন কৃষক ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যার মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি তাদের কাছে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময় ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। সুদের হার কমিয়ে অর্ধেক সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিক থাকে। শ্রমিকরা যাতে বেতন পায় তার ব্যবস্থা করেছি। জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ, তা নিয়ে আমরা সবসময় সচেতন। করোনাকালে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কৃষক থেকে শুরু করে কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই যাদের আমরা অর্থ দিয়ে সাহায্য করিনি।
সবাই টাকা উপার্জন করে ট্যাক্স কতজন দেয়? সাংবাদিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাল, ডাল, বাড়ি-গাড়ি সবই আছে। তারপরও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার দিকে নজর এবং এটাই বাস্তবতা। সরকারের টাকা আসবে কোথায় থেকে। এখন বিদ্যুৎ সবার ঘরে ঘরে। এখানেও ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ তুলতে পাছি না।
দলীয় প্রতীক দেওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘাত হচ্ছে- সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টিপাত করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোথাও সংঘাত হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ শুধু চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক দিয়েছে। নির্বাচন মেম্বার পদেও হচ্ছে। তাদের মধ্যেও মারামারি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য দলও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও তাদের প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সুতরাং দলীয় প্রতীক দেওয়ার কারণে সংঘাত হচ্ছে- কথাটি ঠিক নয়। তবে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ কোনোভাবে সংঘাতে জড়ালে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
