শেয়ার বিজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মে মাসে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর: বিবিসি।
ধারণা করা হচ্ছে, সর্বশেষ অভ্যুত্থানের নেতা নিজের সেনাবাহিনী সমর্থিত শাসনের মেয়াদ আরও বাড়াতে চাইছেন। এজন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের পথ ধরেছেন।
ভোটে জনপ্রিয়তা না থাকা সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুত ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়েকে উৎখাত করে তিনি ক্ষমতা দখল করেন।
গতকাল সোমবার রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত এক ঘোষণায় পার্লামেন্ট বাতিলের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পরে ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসের ৭ বা ১৪ তারিখ ভোট হতে পারে।
২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থাইল্যান্ডে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। তবে ২০২০ সালে ব্যাংককে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভের পর এটিই প্রথম নির্বাচন।
ইতোমধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মহামারি থেকে দেশটির মন্থর পুনরুদ্ধার।
২০১৯ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে জয় লাভ করে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করেন ৬৮ বছর বয়সী প্রায়ুত। থাই রাজনীতিতে তার মতো দীর্ঘদিন টিকে থাকার ঘটনা বিরল।
থাইল্যান্ডের ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চানÑএ বিষয়ে গত রোববার একটি সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রায়ুত মাত্র ১৫ শতাংশের কিছু বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার তুলনায় ৩৮ শতাংশ পিছিয়ে প্রায়ুত।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২ হাজার মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা ফেউ থাইকে ভোট দেবেন। আর প্রায়ুতের ইউনাইটেড থাই ন্যাশন পার্টিকে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ।
