নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশের নাগরিকদের থাইল্যান্ডে গতকাল থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে থাইল্যান্ড। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশের নাগরিকরা আগামীকাল থেকে আরব আমিরাতে ঢুকতে পারবেন না।
দক্ষিণ এশিয়ার কভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া নেপাল ও পাকিস্তানের জন্য একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে থাইল্যান্ড। গতকাল থাই দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল থেকে জারি হওয়া এই নিয়ম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
দূতাবাস জানায়, থাইল্যান্ড সরকারের গঠিত সিসিএসএ কভিড পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এ তিনটি দেশের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এসব দেশ থেকে থাই নাগরিকরা চাইলে দেশে ফিরতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈধ ভিসাধারীরা ১৫ মে থাইল্যান্ড যেতে পারবে। তার পরদিন ১৬ মে থেকে সিওইএস ইস্যু স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে কূটনৈতিক এবং জাতিসংঘের লাইসেজ-পাসার (ইউএনএলপি) ভিসাধারীরা থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবে।
এর আগে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। আজ (সোমবার) আরও দুটি দেশ যথা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড থেকে এ নিষেধাজ্ঞা এলো।
এদিকে গতকাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জাতীয় জরুরি সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার এ ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেয়া ঘোষণায় এ নিষেধাজ্ঞা কতদিনের জন্য তা বলা হয়নি।
এক মাস আগে থেকে কভিডে বিপর্যস্ত ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ বন্ধ করা হয়। এবার বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।
সম্প্রতি বাংলাদেশেও কভিডের ভারতীয় ধরন পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিলো মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশটি। প্রচুর বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন আরব আমিরাতে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশে ছুটিতে আসা শ্রমিকদের ফিরে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল। নিষেধাজ্ঞা কবে কাটবে তাও বলেনি আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
কভিড-১৯ মহামারির বিস্তার ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে আরব আমিরাতের জাতীয় জরুরি সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এসব দেশ থেকে কেউ আরব আমিরাতে ঢুকতে না পারলেও চার দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু থাকবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
আরব আমিরাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে যে কেউ এসব দেশে আসতে বা ফিরতে পারবেন। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এর আগে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমান ও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।