নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বাজারে থাইল্যান্ডের পণ্য ও সেবাগুলোর প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্য বিস্তারে উদ্যোগ নিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশে বিকাশমান অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে দেশটির উদ্যোক্তাদের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে সরকার আগ্রহী বলেও জানানো হয়েছে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হওয়া এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ পরীক্ষিত বন্ধু থাইল্যান্ড। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এখনও খুবই কম। বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে রফতানির পরিমাণ মাত্র তিন কোটি ডলার। আর আমদানির পরিমাণ ৩০ কোটি ডলারের মতো।
দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের জন্য বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এজন্য বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড চাইলে একটি অঞ্চল নিতে পারে। এছাড়া থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার অনুসন্ধানের জন্য তিনি দেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
ঢাকার থাই দূতাবাস ও দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। এতে ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত পান পি মন সুয়ানাপন, এফবিসিসিআইর পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাজ্জাতুজ জুম্মা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় থাই রাষ্ট্রদূত পান পি মন সুয়ানাপন বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন। এক্ষেত্রে বাণিজ্য ও প্রদর্শনীগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় দেশটির পণ্য ও সেবা প্রচারের লক্ষ্যে এর আগে ১৪ বার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫তম এ মেলায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বিমান ও মেডিক্যাল সেবা, কসমেটিকস, তৈরি পোশাক ও ফ্যাশন সামগ্রী, প্রযুক্তি পণ্য, জুয়েলারি, কনফেকশনারি, খাবার ও পানীয়, ভারি শিল্প, গৃহস্থালির পণ্যসামগ্রীর উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। এতে অংশ নেওয়া বেশ কিছু থাই কোম্পানি মেলার মাধ্যমে তাদের এজেন্ট ও প্রতিনিধি অনুসন্ধান করছে। উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিআইটিপির উদ্যোগে তিনটি প্যাভিলিয়নে দেশটির পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী করে।
Add Comment