Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 11:37 am

থার্টি ফার্স্ট উদ্যাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদ্যাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ রাতে যাতে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি ও উশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের থ্রেট বা হুমকি নেই। তবে এ রাতে রাস্তা বন্ধ করে বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাতে কোনো অনুষ্ঠান না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

ক্র্যাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সাংবাদিকরা আলোর দিশারী। আপনাদের সংগঠনের সদস্যদের নিজেদের মধ্যকার ইউনিটি ও ভ্রাতৃত্ববোধ দেখে আমি মুগ্ধ।’

এ সময় ক্র্যাবের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে আগামী অর্থবছরে ক্র্যাবের কল্যাণ ফান্ডে ব্যয় করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা বাজেট রাখার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এ যাবৎ ক্র্যাবের নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি র‌্যাবের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই। থার্টি ফাস্ট নাইটের হুমকি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। মশা ও মাছি ঠেকাতে মশারির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যেন মশা-মাছি কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যবস্থা আমরা করব। এ ধরনের দিবস কিংবা অনুষ্ঠান উদ্যাপনের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ, মিথ্যে খবর ও গুজব ছড়ানো হয়। সম্মানহানিকর তথ্য প্রচার হয়। এসব মনিটরিং করা হবে। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, সবারই খেয়াল রাখা দায়িত্ব।’

বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘ইংরেজি নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি নয়, আমাদের সংস্কৃতি বাংলা নববর্ষ। তবে বিশ্বায়নের যুগে আমরাও এর বাইরে নই। যে কারণে এখানেও ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপিত হবে। আমরা উৎসব উদ্যাপন করব, আনন্দ করব। কিন্তু এ উদ্যাপন যেন অন্য কারও বেদনার কারণ, বিরক্তির কারণ না হয়ে যায়, সে দিকটি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার ও সহসভাপতি মিজান মালিক প্রমুখ।