অপো গ্লোবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (শেঞ্জেন) ঘোষণা করেছে, কোম্পানিটি থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইট টেকনোলজি ব্যবহার করা বিশ্বের সর্বপ্রথম ফাইভজি ভিডিও কলটি প্রদর্শন করেছে। থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইট টেকনোলজি ব্যবহার করা এই প্রদর্শনীতে কোয়ালকম টেকনোলজির অপো ফোন ও ৫জি এনআর টার্মিনাল প্রোটোটাইপের থ্রিডি ক্যামেরার পোর্ট্রেট ইনফরমেশন থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিমোট রিসিভারে থ্রিডি ভিডিও চিত্রায়িত করা হয়েছে। এই উদ্ভাবনীয় প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রদর্শনীটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই সফলতা ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ ও এ যুগের ফাইভজি-সম্পর্কিত নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
অপোর এই থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইটে পরীক্ষামূলক ফাইভজি ভিডিও কলে অপো আর১১ হ্যান্ডসেটটি ব্যবহার করা হয়। এই ফোনে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রাকচারড লাইট ক্যামেরা। এই পরীক্ষামূলক ভিডিও কলে ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রাকচারড লাইট ক্যামেরার মাধ্যমে ফোনটি সফলভাবে থ্রিডি লাইট গ্রহণে সক্ষম হয়। ফাইভজি ইন্টারনেট
প্রযুক্তির মাধ্যমে রিসিভার প্রান্তে সফলভাবে থ্রিডি অবজেক্ট প্রদর্শিত হয়।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হার্ডওয়্যার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাই জিয়ান বলেন, থ্রিডি স্ট্রাকচার লাইট টেকনোলোজি ব্যবহারের মাধ্যমে ফাইভজি ভিডিও কলের সাফল্য আমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে, ব্যবহারকারীর চাহিদাকে ও কাটিং-এজ টেকনোলোজিকে কেন্দ্র করে পরিচালনা করার দক্ষতাকে প্রদর্শন করে। অপো আনুমানিক ছয় মাসের মধ্যে স্মার্টফোনে এই থ্রিডি স্ট্রাকচার্ড লাইট টেকনোলোজি প্রয়োগকে বাণিজ্যিকীকরণ করবে এবং এই গ্রাউন্ডব্রেকিং টেকনোলোজি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবে।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন গবেষণা গ্রুপের পরিচালক তাং হাই বলেন, অপো তিন বছর আগে থেকে ফাইভজি-সংক্রান্ত গবেষণা ও বিকাশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ফাইভজি পণ্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানোন্নয়নে কার্যকরভাবে অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আমরা কোয়ালকম টেকনোলোজির সঙ্গে ফাইভজি পাইলট প্রোগ্রামটি ঘোষণা করেছিলাম। ২০১৯ সালের মাঝে প্রথম ফাইভজি হ্যান্ডসেট নির্মাতা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিত হয়েছিলাম।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সফটওয়্যার রিসার্চ গ্রুপের পরিচালক চেন ইয়ান বলেন, মোবাইল ফোন ইন্টারনেট বাস্তব ও ডিজিটাল বিশ্বের মধ্যে সীমানা হ্রাস করছে।
থ্রিডি ভিডিও কলের প্রদর্শনী করল অপো
