নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্সার কস্ট অব লিভিং সার্ভে ২০২২ অনুসারে বিদেশি কর্মীদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ঢাকা।
গতকাল বুধবার নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্সারের নতুন এক জরিপে বলা হয়, আন্তর্জাতিক কর্মীদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুম্বাই ও নয়াদিল্লির চেয়েও বেশি ব্যয়বহুল। বিশ্বের চার শতাধিক শহরের দুই শতাধিক পণ্য ও সেবামূল্যের ভিত্তিতে এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সূচকে চলতি বছর ঢাকার অবস্থান ৫৮ ধাপ নিচে নামলেও মার্সারের ‘কস্ট অব লিভিং সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক এ জরিপে প্রবাসীদের জন্য এখনও বিশ্বের ব্যয়বহুল ১০০ শহরের মধ্যে আছে ঢাকা।
২০২২ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বের ৯৮তম ব্যয়বহুল শহর নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা। তবে এ জরিপে আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল ৪০তম। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ঢাকা ছিল ২০তম অবস্থানে। ফলে শীর্ষ ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় থাকলেও ঢাকা ক্রমান্বয়ে বিদেশিদের জন্য কম ব্যয়বহুল হচ্ছে।
বিদেশি কর্মীদের বসবাসের জন্য ঢাকা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত কিছু শহরের তুলনায় ব্যয়বহুল রয়েছে। মার্সারের এ তালিকায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ১৮১তম, কাতারের দোহা ১৩৩, সৌদি আরবের জেদ্দা ১১১, কানাডার ভ্যানকুভার ১০৮, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ১০৬ এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা রয়েছে ১০৪তম অবস্থানে।
এ বছর মার্সার সারা বিশ্বের ২২৭টির বেশি শহরে জরিপ পরিচালনা করে এ সূচক তৈরি করেছে। আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, পোশাক, গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী এবং বিনোদনসহ প্রত্যেকটি শহরের দুই শতাধিক পণ্য ও পরিষেবার তুলনামূলক খরচের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে।
সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ভারতের মুম্বাই ১২৭তম, নয়াদিল্লি ১৫৫, চেন্নাই ১৭৭ এবং ব্যাঙ্গালুরু ১৭৮তম অবস্থানে রয়েছে। সে হিসেবে প্রবাসী কর্মীদের জন্য এসব শহর ঢাকার (৯৮তম) তুলনায় কম ব্যয়বহুল।
এমনকি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতেও প্রবাসীদের ব্যয় ঢাকার তুলনায় অনেক কম। সূচকে কলম্বোর অবস্থান ১৮৩তম। এরপরই ভারতের হায়দরাবাদ ১৯২, পুনে ২০১ ও কলকাতা ২০৩তম অবস্থানে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসীদের জীবনযাপনের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহর নির্বাচিত হয়েছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং বন্দরনগরী করাচি। বৈশ্বিক হিসেবে এ শহর দুটির অবস্থান যথাক্রমে ২২৪ ও ২২৩তম। বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহরের হিসেবেও শহর দুটির অবস্থান চতুর্থ ও পঞ্চম।
