দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ: সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয়েছে কলাগাছ। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করতে কলাগাছ রোপণকারী উপেন্দ্রনাথ টিকাদার গত সোমবার রাতে সেই গাছগুলো উঠিয়ে নিয়েছেন। এতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শিক্ষার্থীরা আবার আগের মতো মাঠে খেলাধুলা করতে পারবে তাই আনন্দিত তারা।
বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছ রোপণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ওইদিন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ জালাল উপেন্দ্রনাথ টিকাদারকে পাঁচ দিন সময় দেন গাছগুলো উঠিয়ে ফেলার জন্য। পরে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে কলা গাছগুলো উঠিয়ে ফেলেন তিনি।
একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাঠ ভোগদখল করছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরাসহ গোপালপুর ইউনিয়নের শিশু-কিশোর ও যুবকরা এ মাঠে খেলাধুলা করত। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ দ্বারা বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় উপেন্দ্রনাথ টিকাদার নামের এক ব্যক্তি তার পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করতে কলাগাছ রোপণ করে। তখন রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায়, মাঠটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। পরে গাছ লাগানো সেই ব্যক্তিকে গাছগুলো উঠানোর জন্য পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। পরে সোমবার রাতে তিনি গাছগুলো তুলে নেন। আশা করি, তিনি ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবেন না।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ জালাল বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন বিকাশে খেলাধুলার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। উপেন্দ্রনাথ টিকাদার বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ লাগানোয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। গাছ লাগানো নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কঠোর হস্তক্ষেপে সোমবার রাতে গাছগুলো উঠিয়ে নেন উপেন্দ্রনাথ। গাছগুলো উঠিয়ে নেয়ায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত।
উল্লেখ্য, কভিড-১৯-এর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খুললে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দেখতে পান মাঠে কলাগাছ রোপণ করা হয়েছে। পরে শিক্ষকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্থানীয় উপেন্দ্রনাথ টিকাদার নামের এক ব্যক্তি তার পৈতৃক সম্প্রতি দাবি করে বিদ্যালয় মাঠ দখল করতে গাছ লাগিয়ে চারপাশে বেড়া দিয়েছিলেন।