নিজস্ব প্রতিবেদক: ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। যদিও ব্যাংকটির নতুন প্রতিনিধি পরিচালকরা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং শেয়ারহোল্ডারদের নাম ও শেয়ার সংখ্যা জানাতে পারেননি চেয়ারম্যান এবং খোদ পরিচালকরাও।
সোমবার (৬ মে) ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে এসব প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একীভূত হওয়ার বিষয়ে ব্যাংকটির আগের পর্ষদ এক সিদ্ধান্তে না আসতে পেরে চেয়ারম্যানসহ চারজন পরিচালক পদত্যাগ করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে গতকাল নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়।
নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন বুঝি। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ও তাদের পাশে থেকে ন্যাশনাল ব্যাংককে একটি ব্যবসায়ীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বন্ধ পরিকর। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। ন্যাশনাল ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে চাই।
ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত করা হবে না। তারপরই আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী ১ বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ যদি চায় তাহলে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে।
পরে সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এর উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। আমাদের সিএফও পরবর্তীতে আপনাদের জানাবে। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদেরই নিজেদের পরিচয় দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় তারা তাদের পরিচয় না দিয়ে চেয়ারম্যানসহ স্থান ত্যাগ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা আরও চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় জানতে চান। এসময় তিনি প্রতিনিধি পরিচালকরা সরকারের পরিচালক বলে উল্লেখ করেন। এমনকি ব্যাংকটি কোন গ্রুপ দখল করেনি বলেও উল্লেখ করেন।
নব গঠিত পরিচালনা পর্ষদ তাদের লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিক ভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবেন। এছাড়া পরবর্তীতে আরো তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন আমানত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধম্যে সরবরাহ করা হবে। এতে করে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া খারাপ হয়ে যাওয়া ঋণ পুনঃরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষত খারাপ ঋণ পুনঃরুদ্ধারে কাউকেই কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে নব গঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে।