Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 8:44 pm

দরপতনের শীর্ষে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার দর কমার শীর্ষে ছিল এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন ২১ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৭০ লাখ ৮০ হাজার ১৪৬টি শেয়ার মোট চার হাজার ৯৭৭ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫ টাকা থেকে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এদিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন গত ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কোম্পানিটির আইপিও লটারির ড্র গত ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়।

এরও আগে ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। আর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

কোম্পানিটি ২৬ কোটি সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য শেয়ারবাজারে দুই কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়েছে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত পাঁচ বছরে গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৪২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ টাকায়, যা পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ১৬ দশমিক ৬৫ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

৭৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৪ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়া কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২০ পয়সা। এ প্রান্তিকে করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে আইপিও পরবর্তী হিসাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হবে ২৭ পয়সা।

প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ৭৪ পয়সা। আইপিও পরবর্তী হিসাবে ইপিএস দাঁড়ায় ৫০ পয়সা।

এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা (আইপিও পূর্ববর্তী) এবং ১৫ টাকা আট পয়সা (আইপিও পরবর্তী)।