নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার ২৫০ টাকার। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৮৬ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার টাকার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ৪ টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৪ হাজার ১৭৮টি শেয়ার মোট ২ হাজার ১২৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৭৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা বা ১৮২ দশমিক ৯০ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২১-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫৯ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৮ টাকা ৭৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৩১ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৭৬ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজাার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।