দরপতন অব্যাহত কমছে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমছে মূল্যসূচক। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবারও পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক কমল। আর শেষ ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ১৬টিতেই সূচক কমল।

এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে কম। এরপরও সব মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট বাড়ে।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকেনি। লেনদেনের শেষ দিকে বড় মূলধনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। এতে দাম বাড়ার তালিকায়  বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকার পরও সবকটি মূল্যসূচক কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৫৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সব সূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৭৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ফু-ওয়াং সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑগোল্ডেন সন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বেস্ট হোল্ডিং, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুড এবং আফতাব অটোমোবাইল।

অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৪টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

 

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০