বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধনে একুশে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই এ মেলার শুরু। সে সময় চট-পাটি বিছিয়ে চিত্তরঞ্জন সাহাসহ কয়েকজন প্রকাশক বাংলা একাডেমি চত্বরে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বইমেলার সূচনা করেন।
আজ চার দশকের কালপরিক্রমায় সেই মেলা বাঙালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলায় দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পাঠকের সমাগম ঘটে। পৃথিবীর আর কোথাও এত দীর্ঘ সময় ধরে বার্ষিক কোনো বইমেলার আয়োজন করা হয় না।
তবে দীর্ঘদিন এ মেলায় শিশুদের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হয়নি। যদিও পরে শিশুদের জন্য আলাদা চত্বর নির্ধারণ করা হয়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়টুকু শিশুদের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
শিশুদের পাশে রয়েছে প্রকাশনা সংস্থা গতিধারাও। দরিদ্র শিশুদের হাতে বই তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। এর আগে একুশে বইমেলায় অসমর্থ বা দরিদ্র শিশুদের নিয়ে ভাবা হয়নি। এবারের বইমেলায় শিশুদের জন্য দুটি দৃষ্টিনন্দন বই প্রকাশ করেছে গতিধারা। টাকা দিয়ে কিনতে অসমর্থ শিশুরা এ বই দুটি বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে।
এর আগে ২০০৬ সালে একুশে বইমেলায় ১৫টি বইয়ের মোড়ক ১৫ জন অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে উšে§াচন করেছিল গতিধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক, কেউ মাঝি, কেউবা রিকশাচালক।
দরিদ্র শিশুর হাতে বিনা মূল্যে
রঙিন বই তুলে দিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন গতিধারার কর্ণধার সিকদার আবুল বাশার। তিনি আশা করেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য কিছু করার চেষ্টা করবেন দেশের অন্য প্রকাশকরাও।
বিলু কবীর
Add Comment